শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
শীতে সর্দিকাশি এবং প্রদাহ জনিত রোগবালাই বেশি হয়। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই ঋতুতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হয়। প্রাকৃতিকভাবে অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনযাপনে কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।
স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রোগপ্রতিরোধ কার্যক্রম সচল রাখার টিপস- -স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ
-প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা
-স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
-ভালো ঘুম
-পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা
-মানসিক চাপমুক্ত থাকা
এছাড়াও দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় নিচের পুষ্টি উপাদানগুলো রাখতে হবে
১. জিংক: এই পুষ্টি উপাদান এনজাইমের কাজ করে যা ডিএনএ গঠন করে। যেসব খাবার থেকে জিংক পাবেন- টক দই, মাংস, মাছ, বাদাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ, মাশরুম এবং মসুরের ডাল।
২. সেলেনিয়াম: সামুদ্রিক খাবার, মাশরুম, বার্লি, গরুর দুধ, ডিম, সূর্যমুখীর বীজ, টিসির বীজ, আখরোট, বাঁধাকপি, পালংশাক, ব্রোকলি, রসুন সেলেনিয়ামের ভালো উৎস।
৩. আয়রন: এটি আমাদের দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে। মাংস, পালংশাক এবং সবুজ শাকসবজি, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, শুকনা ফল।
৪. কপার: এটি আয়রনের সঙ্গে শ্বেত রক্তকণিকা গঠনে কাজ করে। শস্যজাতীয় খাবার, বিভিন্ন সবজির বিচি, বাদাম, সবুজ শাকসবজি মাংস কপারের ভালো উৎস।
৫. ফলিক অ্যাসিড: ডিএনএ এবং আরএনএ গঠনে সহায়তা করে। উৎস- সবুজ শাকসবজি, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, শস্যজাতীয় খাবার ও ডিম।
৬. ভিটামিন এ: রোগপ্রতিরোধ এবং প্রদাহ প্রতিরোধী সিস্টেমে উন্নতি সহায়তা করে। মিষ্টি আলু, লাল রঙের ফুল এবং সবজি, সবুজ শাকসবজি, পাকা পেঁপে।
৭. ভিটামিন সি: এটি ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ফ্রি রেডিকেল থেকে সুরক্ষা করে। টক জাতীয় ফল, পেঁপে, স্ট্রবেরি আনারস ভিটামিন সি এর ভালো উৎস।
ভিটামিন ই: সূর্যমুখীর বীজ, কাজু বাদাম, বাদাম, পালংশাক প্রভৃতি ভালো উৎস।
৮. মসলা: হলুদ, গোল মরিচ এবং তুলসী এই আয়ুর্বেদিক উপাদানগুলো রোগপ্রতিরোধে ব্যবহার হয়ে আসছে।
ভয়েস/আআ